সৌদি ক্লাবের ২ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকার সেই প্রস্তাবে না বলে দিয়েছেন রোনালদো। আপাতত ইউরোপ ছাড়ার কোনো ইচ্ছাই নেই পর্তুগিজ ফুটবল তারকার।
অথচ প্রস্তাবটা যেনতেন কোনো প্রস্তাব ছিল না। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো রাজি হলেই প্রতি মৌসুমে পেতেন প্রায় ১ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। বনে যেতেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত ফুটবলার।
গতকাল পর্তুগিজ সংবাদ মাধ্যম টিভিআই আর সিএনএন পর্তুগাল চাঞ্চল্যকর এ খবর প্রকাশ করেছিল। তারা জানিয়েছিল, সৌদির সেই ক্লাব রোনালদোকে পেতে প্রায় ৩০ কোটি ইউরো বা প্রায় ২ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। যার মধ্যে ২৮৩ কোটি টাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে রোনালদোর ট্রান্সফার ফি বাবদ, ১৮৮ কোটি টাকা এজেন্ট জর্জ মেন্দেজকে দিতে আগ্রহী ছিল ক্লাবটি। তবে মূল খরচটা সে ক্লাব করতে চেয়েছিল রোনালদোর বেতনে।
২ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা রোনালদোকে বেতন হিসেবে দিতে আগ্রহী ছিল ক্লাবটি।
৩৭ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ডকে দলে ভেড়াতে পারলে এই অর্থ দুই বছরে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সেই ক্লাবের।
রোনালদো ইউনাইটেডে প্রতি মৌসুমে ৩.৬ কোটি ইউরো আয় করেন। সৌদি ক্লাবের অবিশ্বাস্য এই প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ বলে দিলে এমবাপেকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ফুটবলারে পরিণত হতেন তিনি। বর্তমানে কিলিয়ান এমবাপে পিএসজি থেকে ৬.২ কোটি ইউরো আয় করে থাকেন।
তবে রোনালদো সৌদি সেই বেনামি ক্লাবের এমন লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন- এ খবর এবার জানিয়েছে ইএসপিএন।
৩৭ বছর বয়সী এ ফুটবলার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ২০২৩ সাল পর্যন্ত। চুক্তিতে সুযোগ আছে মেয়াদ আরো এক বছর বাড়িয়ে নেয়ারও। তবে সম্প্রতি তিনি ইউনাইটেডকে জানিয়ে দিয়েছেন, ক্লাবটিতে আর থাকতে আগ্রহী নন তিনি, ভালো প্রস্তাব এলে যেন তাকে যেতে দেওয়া হয়।
মূলত পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে চান, আর তার দল ইউনাইটেড চলে গেছে ইউরোপা লিগে। সে কারণেই দল ছাড়ার তীব্র ইচ্ছা রোনালদোর।
ইএসপিএন জানাচ্ছে, বায়ার্ন এখনো আছে তাকে দলে ভেড়ানোর দৌড়ে, সঙ্গে আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও। যথাযথ প্রস্তাব না এলে রোনালদোর ইউনাইটেডে থেকে যাওয়াটাও খুব সম্ভব বলে জানাচ্ছে সংবাদ মাধ্যমটি।
আপনার মতামত লিখুন :