শেষ রক্ষা হয়নি  স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টায় পিডিবির কর্মচারী রাসেল কারাগারে


তরফ বার্তা প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৫, ২০২২, ১২:০৬ অপরাহ্ন /
শেষ রক্ষা হয়নি  স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টায় পিডিবির কর্মচারী রাসেল কারাগারে

জুয়েল চৌধুরী \ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের রাঙ্গেরগাঁও গ্রামে যৌতুকের টাকা না পেয়ে তাহমিনা আক্তার নামের গৃহবধূকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় হবিগঞ্জ পিডিবির কর্মচারী বজলুর রহমান রাসেলকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
গতকাল বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সুদি¦ত দাস তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদি পক্ষের আইনজীবি মোঃ সুফি মিয়া ও আজিজুর রহমান খান সজল।
এর আগে তাহমিনাকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় পাষÐ স্বামী পিডিবির কর্মচারী বজলুর রহমান রাসেলের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হলে গত ১৮ জুন রুজু করে এসআই সজিব মিয়াকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। এক পর্যায়ে সে হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেয়। গতকাল বুধবার ধার্য্য তারিখে সে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে ওই এলাকার তাহমিনা আক্তারকে বিয়ে করে হবিগঞ্জ শহরের সিনেমা হল এলাকার মৃত আলতাফুর রহমানের পুত্র বজলুর রহমান রাসেল। দাম্পত্য জীবনে মাহদিয়া রহমান সাবা নামে ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে তাদের। বিয়ের পর থেকেই বজলুর রহমান রাসেল স্ত্রীর নিকট মোটর সাইকেল কেনার জন্য ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলো। এ জন্য সে তাহমিনাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। তার নির্যাতনের শিকার হয়ে ইতোপূর্বেও তাহমিনাকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। এ ঘটনায় বজলুর রহমান রাসেলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় ভবিষ্যতে সে এমন করবে না মর্মে আপোষ নামায় স্বাক্ষর করে তাহমিনাকে তার বাসায় নিয়ে যায়। সম্প্রতি কিছুদিন আগে আবারও তাহমিনার কাছে জায়গা কেনার জন্য ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে বজলুর রহমান। কিন্তু তাহমিনা এতে অপরাগতা প্রকাশ করলে শিশুসহ তাকে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। গত ১১ জুন সন্ধ্যায় শশুর বাড়িতে গিয়ে আবারও তাহমিনার কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে বজলুর রহমান। তাহমিনা তখন তার পিতার অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরলে উত্তেজিত হয়ে বজলুর রহমান তাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হন তাহমিনা। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বজলুর রহমান পালিয়ে যায় এবং তাহমিনাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তাহমিনা বাদি হয়ে বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ১৮ জুন সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।