লাখাইয়ে ঈদুল আযহার দিনে কচুরিপানা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত আব্দুল মন্নাফ (৭৫) ঢাকায় চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার মারা গেছে। মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছলে প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে চালানো হয় হামলা ও লুটপাট । ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুুপুরে উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের মৌবাড়ি গ্রামে। কয়েকঘন্টাব্যাপি চালানো হয় হামলা ও লুটপাটের ঘটনা। চলার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও তাদের ভুমিকা নিরব ছিল বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের । তবে পুলিশের উর্ধতন কৃর্তপক্ষ বলেন- যাতে হামলা লুটপাটের ঘটনা না ঘটে রাতে পুলিশ মোতায়েন কর হবে।
জানা যায়, লাখাই উপজেলার মৌবাড়ী গ্রামে শের আলী গ্রুপ ও আবরু মিয়া গ্রুপের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরুধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ১০ জুলাই রবিবার ঈদুল আযহা নামাজের আগে আবরু মিয়ার লোক সকাল ৭ঘটিকার সময় পার্শ্ববর্তী খাল থেকে কচুরিপানা তুলতে গেলে শের আলীর লোকজন বাধা দেয়। এত তর্ক-বিতর্ক জড়িয়ে পড়লে এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়। আহতেদর মাঝে মৃত আব্দুল মন্নাফের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রথমে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে হবিগঞ্জ জেলা সদরে রেফার করা হয়। আব্দুল মন্নাফের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানে চিকিৎসা অব্স্থায় প্রায় ৯দিন পর ১৯ জুলাই মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আবরু মিয়ার লোকজন গা ঢাকা দেয়। এ সুযোগে শের আলী গ্রুপের লোকজন আবরু মিয়ার গ্রুপের লোকজনের বাড়ী ঘর ভাংচুর, লুঠপাট, হামলা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবরু মিয়ার লোকজনের মধ্যে খসরু মিয়া, ইসমাইল মিয়া সুজাত মিয়া, হাসিম মিয়া, মহলদার মিয়া সুবহান মিয়া, হোসেন মিয়া, জাকির মিয়া, ছুরুক মিয়া, ছায়েদ মিয়ারসহ প্রায় ১৫/২০টি ঘর ভাংচুর ও লুঠপাট করে। ঘরে থাকা আসবাবপত্র নিয়ে যায়। ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান, ধান, চাল, নগদ অর্থ, স্বর্ণা লংকার ও গরুসহ নিয়ে যায়। এতে তাদের প্রায় ৫কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বাড়িতে থাকা মহিলারা। মহিলার আরো জানন, ঘটনা চলার সময় পুলিশ উপস্থিত হলেও নিবর ভুমিকা পালন করে।
খবর পেয়ে লাখাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ সাইদুল ইসলাম মুড়িয়াউক বিট-অফিসার এস আই মিজানুল হক একদল পুলিশ ফোর্সসহ মৌবাড়ী গ্রামে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার শিমুল বলেন- বাড়ি-ঘর যাতে লুটপাট এবং ভাংচুর না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :